• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩০, ১ শা'বান ১৪৪৬

ক্লাসরুমেই ছাত্র ও শিক্ষিকার বিয়ে, তবে...


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
ক্লাসরুমেই ছাত্র ও শিক্ষিকার বিয়ে, তবে...
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষেই কনের সাজে সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন অধ্যাপিকা। তিনি আবার বিভাগীয় প্রধান। আর তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। এ ঘটনা নিয়ে গোটা ক্লাসে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শোরগোল পড়েছে। পরে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটে বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। ইতিমধ্যে এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

ভিডিও নিয়ে হইচই শুরুর পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে যে অধ্যাপিকা লাল বেনারসি পরে দাঁড়িয়ে আছেন। গলায় আছে মালা। তাকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন কলেজের এক প্রথম বর্ষের ‘ছাত্র’। তার গলাতেও মালা ছিল। আর সেই মুহূর্তের ভিডিও করছেন কয়েকজন। আশপাশ থেকে হাসির শব্দ শোনা যায়। তারই মধ্যে পাশ থেকে বলতে শোনা যায়, ‘নাকে পড়েনি।’ সেটা শুনে সিঁদুর নিয়ে অধ্যাপিকার নাকে লাগিয়ে দেন ওই ‘ছাত্র’।

সেই ভিডিওটি সামনে আসার পরই ওই অধ্যাপিকাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তীর দাবি, অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। যদিও ওই ‘ছাত্র’-র হদিস মেলেনি। তারই মধ্যে অধ্যাপিকা দাবি করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশার পার্টিতে একটি নাটক করার পরিকল্পনা করেছিলেন পড়ুয়ারা। তাতে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদেরও যোগ দিতে আহ্বান করা হয়েছিল। আর সেই বিয়ের দৃশ্যটা ওই নাটকেরই অংশ ছিল বলে দাবি করেছেন অধ্যাপিকা।

অভিযুক্ত অধ্যাপিকা পায়েল ব্যানার্জি দাবি করেছেন যে ফ্রেশার পার্টির জন্য একটি নাটকের পরিকল্পনা করেছিলেন পড়ুয়ারা। সেই নাটকের অংশ হিসেবেই ওই ‘বিয়ের’ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে বিপদে ফেলতে এখন সেই ভিডিও ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন অধ্যাপিকা।

তার দাবি, ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে এক ‘বন্ধু’ আছেন। তাকে হটিয়ে নিজে অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বা ফলিত মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হওয়ার জন্য এবং পড়ুয়াদের ব্ল্যাকমেলের কথা চেপে রাখার জন্য সেই ‘বন্ধু’ তাঁর ভিডিয়ো ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অধ্যাপিকা।

তিনি বলেছেন, মানুষ কী পর্যায়ে নামতে পারে, সেটা কল্পনারও বাইরে। নিজে প্রধান হওয়ার জন্য এবং ছাত্রছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইলের কথা ঢাকা দেওয়ার জন্য স্রেফ একটা বিভাগের নাটকের দৃশ্যকে (ড্রামা ক্লিপস) ব্যবহার করতে পারে…জানা ছিল না। বন্ধুত্ব ছাড়াও মনুষ্যত্বের নোংরা উদাহরণ।

সেই সঙ্গে অধ্যাপিকা দাবি করেছেন, যাকে হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছেন, তিনি যে স্রেফ বিভাগীয় প্রধান হওয়ার লোভে এতটা নিচে নেমে যাবেন, সেটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। যিনি পেছন থেকে তাকে ছুরি মেরেছেন, তিনিও বেশি লাভবান হতে পারবেন না বলে দাবি করেছেন অধ্যাপিকা। তার কথায়, ‘অন্যের ক্ষতি করে কোনো দিন এগিয়ে যাওয়া যায় না।

Link copied!