• ঢাকা
  • সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩০, ৩০ রমজান ১৪৪৬

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ৬ দেশ, আফটার শকের শঙ্কা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ৬ দেশ, আফটার শকের শঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে বড় ভূমিকম্পের পর রাজধানী নেপিডোর সড়কে ফাটল দেখা দেয়। ভূমিকম্পের পর অনেক ভবনেও ফাটল দেখা গেছে। কম্পনের সময় অনেক মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। মিয়ানমারে বড় ভূমিকম্পের পর রাজধানী নেপিডোর সড়কে ফাটল দেখা দেয়। এ ভূমিকম্পের পর অনেক ভবনেও ফাটল দেখা গেছে। কম্পনের সময় অনেক মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।

মিয়ানমারে পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে শুক্রবার (২৮ মার্চ)। এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। শুধু মিয়ানমার নয়, এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে ভারত, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে।

ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এত মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর পরাঘাত বা আফটার শক আরও হতে পারে।

প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভয়ে বাসিন্দারা উঁচু ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ছাদের পুল থেকে পানি গড়িয়ে নিচে পড়েছে।

থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন জানায়, ব্যাংককের চাতুচাক এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে ৪৩ জন নির্মাণশ্রমিক আটকা পড়েছেন। ব্যাংককে কিছু মেট্রো পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের মান্দালয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলেছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৩। তবে ভূমিকম্পের এই মাত্রা বেশ বড় বলেই বিবেচিত হয়।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের পাশের দেশ মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

যে অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে, সেটি ‘ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোনের’ মধ্যে পড়েছে। সাবডাকশন জোন হলো এমন একটি এলাকা, যেখানে দুটো টেকটোনিক প্লেট সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং একটি ডুব দেয় বা অন্যটির নিচে পড়ে যায়। এই ‘ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোনের’ বিস্তৃতি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকা পর্যন্ত। এটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।

এ এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ হলেও গত ২০ বছরে এ অঞ্চলে এই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার। তিনি বলছিলেন, দিন দিন এ অঞ্চলে ভূমিকম্প বাড়লেও গত ২০ বছরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, এমন নজির নেই। তাই এবারের এ ভূমিকম্প বেশ বড় ভূমিকম্প। এর প্রভাব বিস্তীর্ণ এলাকায় পড়েছে।

প্রথমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটারের দূরে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার। তিনি বলেন, এটি ছিল পরাঘাত বা আফটার শক। আরও কয়েকটি পরাঘাত হওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৭। মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ছিল এর উৎপত্তিস্থল। গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও চীনে।

Link copied!