• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটবে
সূর্যগ্রহণ। ছবি : সংগৃহীত

সোমবার (৮ এপ্রিল) মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে গোটা পৃথিবী। এদিন চাঁদ সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলবে সূর্যকে। অর্থাৎ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চলে আসবে চাঁদ। কয়েক মিনিটের জন্য নামবে অন্ধকার। বিশ্বের অনেক দেশই ডুববে মিনিট কয়েকের আঁধারে। তবে খুব শিগগির ফের সূর্যের আলো দেখা যাবে। একেই বলে সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই সূর্যগ্রহণের সঙ্গে ঘটবে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনাও।
২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল হতে চলেছে বছরের প্রথম পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। এই সূর্যগ্রহণ অনেক ক্ষেত্রেই বিরল। এই মহাজাগতিক ঘটনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে। এই গ্রহণ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কোটি কোটি মানুষ। এই গ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যকে পুরো ঢেকে দেবে ফলে পৃথিবী দিনের বেলা কয়েক মিনিটের জন্য অন্ধকারে ঢেকে যাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের উত্তর আমেরিকার সূর্যগ্রহণ কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে ১৫টি মার্কিন রাজ্যে পূর্ণগ্রাস হিসেবে দেখা যাবে। নক্ষত্র জ্যোতিষী সুসান মিলার এবং বিজ্ঞানীরা এই স্বর্গীয় সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি অস্বাভাবিক ঘটনার কথা জানিয়েছেন।

‘ডায়মন্ড রিং এফেক্ট’
উত্তর আমেরিকার সূর্যগ্রহণ কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে ১৫টি মার্কিন রাজ্যে সম্পূর্ণতা পরিলক্ষিত হবে। এক বিজেধি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল নির্ধারিত চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে এই বিরল সূর্যগ্রহণ এমন কিছু জিনিস ঘটাবে, যা মানুষের মধ্যে চরম কৌতূহলের সৃষ্টি করবে। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ চলাকালীন একটি ‘ডায়মন্ড রিং এফেক্ট’ তৈরি করবে। যখন সূর্যের আলোর স্লিভারগুলো চন্দ্র উপত্যকার মধ্যে দিয়ে উঁকি দেয়, সেই সময় এই দৃশ্য সূর্যগ্রহণ দেখার অনুভূতিকে এক চরম সীমায় নিয়ে যাবে।

পরিবর্তিত প্রাণী আচরণ
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহণের সময় প্রাণীরা অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে। যখনই দিনের আলো ম্লান হয়ে যায় এবং হঠাৎ অসময়ে অন্ধকার নেমে আসে ঠিক যেন মনে হয় রাত হয়ে গেছে সেই সময় প্রাণীদের ব্যবহারে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করা যায়। নাসার ইক্লিপস সাউন্ডস্কেপ প্রকল্পের লক্ষ্য গ্রহণ চলাকালীন এই পরিবর্তনগুলো ক্যাপচার করা। বিশেষ করে ইকোসিস্টেমের ওপর গ্রহণের প্রভাব কী পড়বে তা দেখা।

অস্বাভাবিক ছায়া
গ্রহণের সময় অদ্ভুত এক ছায়া পড়ে। যেমন গাছের নিচে অর্ধচন্দ্রাকার ছায়া, পাতার মধ্য দিয়ে সূর্যালোক ফিল্টার করে ফলে ছায়া পড়ে। নাসা এইগুলো এনং অন্যান্য গ্রহণজনিত ছায়া নিরাপদে দেখার জন্য পিনহোল প্রজেক্টের ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।

তাপমাত্রা হ্রাস
সূর্যের অবরুদ্ধতা তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। কিছু জায়গায় ২০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা হ্রাস হতে পারে। ফলে আকস্মিক এক ভয়ংকর ঠান্ডা তৈরি করে।

আকস্মিক বায়ু
গ্রহণ বাতাসকে আলোড়িত করতে পারে। ভূমি দ্রুত ঠান্ডা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার গতি এবং দিক পরিবর্তন করে। একটি ঘটনা যা ২০১৬ সালের রিডিং ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে।

সার্কা ডিয়ান ছন্দ
গ্রহণ চলাকালীন দিন থেকে রাত এবং রাত থেকে দিনে ফিরে আসার আকস্মিক ঘটনা অস্থায়ীভাবে হলেও প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয়ের সার্কা ডিয়ান ছন্দকে ব্যাহত করে। বেশির ভাগ জীবই গ্রহণের পর তাদের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। বিজ্ঞানীরা এই দৃশ্যের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!