উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ঝড়ের কারণে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুই হাজারের অধিক মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পূর্বাঞ্চলের সরকার। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
লিবিয়ার বিশেষজ্ঞ জালেল হারচাউই বিবিসিকে বলেন, মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজারে পৌঁছাতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ড্যানিয়েল’ নামক ঝড়টি রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে আঘাত হানে। ফলে কর্তৃপক্ষ চরম জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।
চলমান উদ্ধার অভিযানে সাতজন লিবিয়ান সেনাসদস্য নিখোঁজ হয়েছেন।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজি, সুসে, দেরনা ও আল-মারজ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্কুল ও দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিবিয়ার রেড ক্রস জানিয়েছ, অন্তত ১৫০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, শুধু দেরনায় অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেরনায় দুটি বাঁধ যেখানে প্রায় এক লাখ লোকের বাস, ধসে পড়ে বিস্তৃত এলাকা ডুবে গেছে। একই সঙ্গে একাধিক বাসিন্দাও ডুবে গেছে। কর্তৃপক্ষ বন্দরটিকে ‘দুর্যোগের শহর’ ঘোষণা করেছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ গণমাধ্যমকে বলেন, “নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ, মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে... দেরনার আশপাশের এলাকা ও তাদের বাসিন্দারা...পানিতে ভেসে গেছে।”
তবে হামাদ তার পরিসংখ্যানের কোনো উৎস উল্লেখ করেননি।
পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাচাই করা যায়নি এমন কিছু ঝড়ের ভিডিওতে দেখা যায়, বন্যার জলের স্রোত একজন মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে৷ অন্যান্য ফুটেজে চালকদের গাড়ির ছাদে আটকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঝড়ের কারণে স্কুল ও দোকানপাটের পাশাপাশি চারটি বড় তেল বন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে।