পোল্যান্ডের ঘোষণার মাত্র এক দিন পর এবার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ইউক্রেনে সোভিয়েত যুগের পুরোনো মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে স্লোভাকিয়া।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইউক্রেনকে ১৩টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড হেগের জানান, ইউক্রেনে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে দেশটির সরকার।
এদিকে এসব যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ক্রেমলিন।
তবে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্লোভাকিয়া ১১টি সোভিয়েত যুগের মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান ইউক্রেনকে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মূলত গত গ্রীষ্মে ১১টি পুরোনো মিগ-২৯ বিমান বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্লোভাকিয়া। এর মধ্যে বেশির ভাগই কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। যে বিমানগুলোর কার্যক্ষমতা আছে, সেগুলোই ইউক্রেনের জন্য পাঠানো হবে। বাকিগুলোর যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা হবে।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড হেগের বলেন, “সরকার আজ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সর্বসম্মতিক্রমে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করেছে। সব যুদ্ধবিমান হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি পোল্যান্ড, ইউক্রেন এবং অবশ্যই অন্য মিত্রদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করে করা হচ্ছে।”
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার মতো ন্যাটো মিত্রদেশগুলো কিয়েভকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করলেও এখন পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা নিয়ে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রথম ন্যাটো দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে চারটি ‘সোভিয়েত যুগের মিগ-২৯’ যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দেয় পোল্যান্ড। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের হাতে চারটি সাবেক সোভিয়েত আমলে তৈরি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন আরও আধুনিক যুদ্ধবিমান চায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী মিগ-২৯ চালাতে জানে। ফলে বিমান হাতে পেলেই তারা চালাতে পারবে। কিন্তু মার্কিন এফ-১৬-এর মতো বিমান চালাতে গেলে তাদের অন্তত ৯ মাসের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আর সেই সময় এখন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে নেই। সে কারণেই মিগ-২৯ তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো যুদ্ধবিমান।