ফিলিস্তিনের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের নতুন নেতা হচ্ছেন গোষ্ঠীটির গাজা শাখার শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান নিহত ইসমাইল হানিয়ার উত্তরসূরি হবেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে হামাস।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তার রাজনৈতিক শাখার প্রধান হিসেবে কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে বেছে নিয়েছে, তিনিই শহীদ কমান্ডার ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। আল্লাহ তার প্রতি সদয় হোন।”
গত ৩১ জুলাই তেহরানে এক হামলায় নিহত হন হানিয়া। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন তিনি।
হামাসের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক একজন কূটনীতিবিদ বলেন, “এই নতুন নিয়োগের অর্থ—গাজা যুদ্ধের সমাধান হিসেবে ইসরায়েল সিনওয়ারকে মোকাবিলা করতে চায়। অন্যদিকে হামাস এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে বার্তা দিলো যে, তারা এখনও কঠোর এবং আপসহীন অবস্থায় রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতার ভিত্তিতে দু’পক্ষের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি সংলাপ শুরু হয়েছে, এই কূটনীতিবিদ সেই আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
গত কয়েক বছর হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একাংশ কাতার ও লেবাননে বসবাস করেন। বাকি যেসব নেতা গাজায় অবস্থান করছেন, তাদের মধ্যে ইয়াহিয়া সিনওয়ার সর্বজ্যেষ্ঠ।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে যে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা, সেই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
হামাস ও প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন মানুষ; সেই সঙ্গে ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল যোদ্ধারা।
সেই হামলার পর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে আত্মগোপনে আছেন সিনওয়ার।