একেবারে কড়া নিরাপত্তায় দিল্লির ভিভিআইপি জোনে শেখ হাসিনার অবস্থানের কথা জানাল হিন্দুস্তান টাইমসও। ভারতের প্রভাবশালী দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৭ বছর বয়সী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা মধ্য দিল্লির সুরক্ষিত একটি বাংলোতে অবস্থান করছেন। এই বাংলোতে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা দিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো এলাকার একটি সুরক্ষিত বাড়িতে বসবাস করছেন। সেই খবর প্রকাশের একদিন পরই শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) হিন্দুস্তান টাইমসও শেখ হাসিনার অবস্থান জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করল।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাজধানী দিল্লির এক ভিভিআইপি এলাকায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অবস্থান করছেন। আর এই এলাকাটি ইন্ডিয়া গেট ও খান মার্কেটের কাছাকাছি অবস্থিত।
তবে প্রতিবেদনটিতে ৭৭ বছর বয়সী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে বাংলোর নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি গত দুই মাস ধরে এই বাংলোতেই আছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দাবি করেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো নথি তার কাছে নেই। এ মন্তব্যের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।
এর আগে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। সে সময় সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও ছিলেন।
সেই ঘটনার সময়কার তথ্য তুলে ধরে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছিলেন, বাংলাদেশ ছাড়ার আগে কয়েকদিন ভারতে থাকার জন্যে মোদি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে আলোচনায় আসে যে, শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে গেছেন। পরে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তার আগে ধারণা করা হয়েছিল শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে চলে যেতে পারেন। যেখানে তার ছোট বোন ব্রিটিশ নাগরিক শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি।
তবে পরে ব্রিটিশ সরকার জানায়, দেশটি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে পারবে না। তাই শেষ অবধি ভারতেই থেকে যেতে হয়েছে শেখ হাসিনার। তবে তার সঙ্গে থাকা শেখ রেহানা এখনও তার সঙ্গে দিল্লিতেই আছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক। যে কারণে তিনি দিল্লিতেই থাকেন। সূত্রমতে, গত দুই মাসে সায়মা ওয়াজেদ তার মায়ের সঙ্গে দুয়েকবার দেখাও করেছেন।