কারাগারে বন্দীদের নিরাপত্তা ও দেখভালের দায়িত্ব ছিল নারী পুলিশ কর্মকর্তা লিন্ডা দে সুসার। কিন্তু কাজের ফাঁকে তিনি পুরুষ কয়েদিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন। অবশেষে ধরা পড়লেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের এইচএমপি ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারের একজন বন্দীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ভিডিও ধারণের দায়ে লিন্ডা দে সুসার ১৫ মাসের জেল হয়েছে। ভিডিও ক্লিপটি অনলাইনে অধিক পরিমাণে ছড়িয়ে যাওয়ার (ভাইরাল) পরে লিন্ডা দে সুসা অ্যাব্রেউ নামের এই জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয় বলে সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনা গত বছরের ২৬ থেকে ২৮ জুনের মধ্যে ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারে ঘটে।
ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারের গভর্নর বলেন, ‘সব পুরুষ কারাগারে নারী কর্মীদের এত বছরের কাজকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অ্যাব্রুউয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ‘‘এক দিনেরও কম’’ সময় নেওয়া হয়েছে।’
৩০ বছর বয়সী অ্যাব্রেউ তার বাবার সঙ্গে মাদ্রিদের একটি ফ্লাইটে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। এর আগেই হিথ্রো বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। অ্যাব্রেউকে এর আগে সরকারি অফিসে অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আইলওয়ার্থ ক্রাউন কোর্টের কাছে একটি আংশিক লিখিত বিবৃতিতে ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারের গভর্নর অ্যান্ড্রু ডেভি বলেন, ‘ওয়ান্ডসওয়ার্থের অনেক নারী কর্মী বন্দীদের দিক থেকে ‘‘হিট-অন’’ হওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।’
আদালতকে আরও বলা হয়েছে, একই বন্দীর সঙ্গে অভিযুক্তের শারীরিক সম্পর্ক করার আরও একটি রেকর্ডিং কারা কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা তার বডি ক্যামেরায় পাওয়া গেছে। অ্যাব্রেউ এক অনুষ্ঠানে সেই বন্দীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন।
বিচারক মার্টিন এডমন্ডস কেসি বলেন, ‘ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। তাই এটি বিচ্ছিন্ন নয়, বরং বারবার করা আচরণের অংশ।’