দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রবল বৃষ্টিপাত ও বাতাসের কারণে এই বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়ে, ব্রাজিলের ওই এলাকায় আরও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দেশটির রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইটে এই বিপর্যয়কে তার প্রদেশের সবচেয়ে ভয়ংকর আবহাওয়া বিপর্যয় বলে অভিহিত করেন।
কর্মকর্তারা জানান, হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৫ হাজার বাসিন্দার শহর মুকুমের ৮৫ শতাংশ বন্যায় তলিয়ে গিয়েছে। সেখানে শত শত মানুষকে তাদের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করতে হয়েছে।
দেশটির ফেডারেল সরকার আক্রান্তদের সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি বলেন, “কোথাও কোনো সমস্যা হলে, ফেডারেল সরকার সেখানে মানুষকে সহায়তা করতে কাজ করবে।”
রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের গভর্নর এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) মুকুম শহরে ১৫টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। আর এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রদেশটিতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৩০০ মিমি এর বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং এর ফলে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মুকুমের মেয়র মাতেউস ট্রোজান গণমাধ্যমকে বলেন, “এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আমরা যে মুকুম শহরকে চিনতাম, তা আর নেই।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বন্যার কারণে বিচ্ছিন্ন এলাকায় পৌঁছাতে উদ্ধারকর্মীরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ব্রাজিলেরর সাও পাওলোতে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছিলেন। আর গত বছর দেশটির রেসিফ শহরের কাছে প্রবল বৃষ্টিতে ভমিধস ও কাদার স্রোতে অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছিলেন।