সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সৌদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের অনুরোধ করেছেন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক।
তবে সৌদি আরব নিজেদের বেসামরিক পারমাণবিক প্রকল্প চালু এবং এর বাস্তবায়নে মার্কিন সহযোগিতা ও এ-সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে। যদিও এর আগে রিয়াদ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনি জাতির লক্ষ্য আগে পূরণ হতে হবে তারপরেই তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এমন এক সময়ে সৌদি সফরে গেলেন, যখন দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছে। গতকাল ভোরে বন্দরনগরী জেদ্দায় বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপক্ষীিয় বিষয় নিয়ে ‘খোলামেলা আলোচনা’ করেছেন। এর মধ্যে ছিল ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আর্থিক সহযোগিতা, ক্লিন এনার্জি ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে কথা বলতেই সৌদি সফরে গেছেন ব্লিঙ্কেন। আলোচনার বড় অংশজুড়ে ছিল সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি। তবে কর্মকর্তারা জানান, খুব সহজে বা তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে অগ্রগতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তারা।
এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে। বৈঠকে সুদান ও ইয়েমেনে সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টার ওপরও আলোকপাত করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, দুই দেশের স্বার্থ জড়িত আছে এ রকম কিছু সম্ভাব্য যৌথ উদ্যোগ ও মতভেদের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। সৌদি যুবরাজের সঙ্গে ব্লিঙ্কেন ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের বৈঠক করেন।
ওয়াশিংটন মনে করে, কয়েক দফা আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে এবং এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান রুশ ও চীনা আধিপত্য কমবে।
২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশ বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ বিষয়ে আপত্তি না জানালেও একই পথে হাঁটেনি রিয়াদ। সে সময় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়টির মধ্যস্থতা করেন।
এদিকে গত এপ্রিলে ইসরায়েলের শত্রু হিসেবে বিবেচিত ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে সৌদি আরব।