এক সৌদি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ১৩ ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীকে মুক্তি দিয়েছে রিয়াদ। ইয়েমেনের বহু বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওমানি কর্মকর্তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় পৌঁছার পর গতকাল শনিবার এই মুক্তি খবর পাওয়া গেল।
রোববার (৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
হুতি নেতা আবদুল কাদের আল মুরতাবা বলেন, “বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় আগেই এক সৌদি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল ইয়েমেন। তার বিনিময়ে শনিবার ওই ১৩ হুতি বিদ্রোহীকে মুক্তি দিল সৌদি আরব। আমরা আশা করি দুই দেশের মধ্যে এ বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।”
শনিবার ইয়েমেনের সরকার জানিয়েছে, ৮৮৭ জন হুতি বিদ্রোহীকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলে সৌদি কর্তৃপক্ষ আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে।
যদিও এ বিষয়ে সৌদি সরকারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত বছর সৌদি আরব ও ইয়েমেনের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি হয়েছে। এতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে দুই হাজার বন্দিবিনিময় হবে।
এদিকে সংঘাত অবসানে সৌদি আরব ও ওমানের দূতেরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ইয়েমেনের ইরানঘনিষ্ঠ হুতি আন্দোলনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে ওই দুই দেশের কর্মকর্তারা সেখানে যাবেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, সৌদি কর্মকর্তাদের সানা সফর রিয়াদ ও হুতি আন্দোলনের মধ্যকার আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত দেবে। জাতিসংঘের শান্তি প্রচেষ্টার পাশাপাশি ওমানের মধ্যস্থতায় এ দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
দুইপক্ষের মধ্যে এই সংক্রান্ত কোনো চুক্তি হলে তা ২০ এপ্রিল থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শুরু হতে যাওয়া ঈদের ছুটির আগেই ঘোষিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে ইয়েমেন ও সৌদি আরবের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর পর দুই দেশের মধ্যে কিছুসংখ্যক বন্দিবিনিময়ের পর আবার দেশ দুটি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে বন্দিবিনিময় চুক্তি মুখ থুবড়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে ইরানপন্থি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সৌদি আরব।