ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় গত সপ্তাহে কমেছিল জ্বালানি তেলের দাম। তবে সোমবার (৬ মে) সপ্তাহের শুরুতেই তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।
বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের জন্যই দাম বাড়ানো হয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে যাওয়ায় এমন দাম বৃদ্ধি ঘটেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, চলতি গ্রীষ্মকালে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে। তাই আগামী জুনে এশিয়া, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের দেশগুলোতে যে তেল বিক্রি করবে সৌদি আরব, তার দাম বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ২৪ ডলারে উঠেছে। এ ছাড়া ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৪০ ডলারে উঠেছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার তথ্য দিয়েছেন বহুজাতিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির পণ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তেল উৎপাদনকারী বিশ্বের বৃহত্তম অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল-হামাস সংকট ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই উভয় ধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছিল। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছিল ৭ শতাংশের বেশি আর ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম নেমেছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। তেলের দাম কমার কারণ হিসেবে রয়টার্স ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় উল্লেখ করেছিল।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছিল গত সপ্তাহে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে গেছে। হামাস দাবি করেছিল, বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক; কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে, টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল ও গ্যাসের খনির সংখ্যা কমেছে, বিশেষ করে তেলের খনির সংখ্যা কমেছে বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাতটি কমে গিয়ে সক্রিয় খনির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৯টিতে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর আর কখনো এক সপ্তাহের ব্যবধানে এতগুলো খনি উৎপাদনের বাইরে চলে যায়নি।