প্রধান নির্বাহীর (সিইও) এর পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পাঁচ দিন পর আবার ওপেনএআইয়ে ফিরলেন স্যাম অল্টম্যান। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) তাকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
বুধবার (২২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
স্যাম অল্টম্যানকে সিইওর পদ থেকে বরখাস্ত করাকে ঘিরে অনেক নাটকীয়তা দেখা গিয়েছে। মাঝে শোনা গিয়েছিল, স্যামকে ওপেনএআইয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পরবর্তীকালে শোনা গেছে, তিনি টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটে যুক্ত হতে যাচ্ছেন। এখন তিনি আবার ওপেনএআইয়ে সিইওর পদে ফিরলেন।
এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যামকে ফিরিয়ে আনতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অন্তত একজন স্যামের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা করছেন।
ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে স্যামের যোগ্যতা নিয়ে আস্থার অভাবের কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানা যায়।
স্যামকে বরখাস্ত করার ঘোষণার পর প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন গ্রেগ ব্রোকম্যান। সোমবার (২০ নভেম্বর) ওপেনএআইয়ের পক্ষ থেকে নতুন সিইও হিসেবে এমেট শেয়েরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি মার্কিন টিভি সম্প্রচারমাধ্যম টুইচের সাবেক প্রধান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
এরপর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের উদ্দেশ্যে দুটি দাবি নিয়ে একটি খোলাচিঠি লেখেন এআইয়ের কর্মীরা। এক. প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদকে পদত্যাগ করতে হবে। দুই. চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া সিইও স্যাম অল্টম্যান ও পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রোকম্যানকে ওপেনএআইয়ে ফেরাতে হবে।
সিলিকন ভ্যালিতে এই খোলাচিঠি নিয়ে আলোচনার মধ্যে এতে নতুন মাত্রা যোগ করেন মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, স্যাম অল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রোকম্যান মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন। তারা মাইক্রোসফটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত একটি আধুনিক গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেবেন।
এত কিছুর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের কর্মকাণ্ডে নাটকীয়তা আরও বেড়ে যায়। জানা যায়, স্যামের চাকরি কেড়ে নেওয়ায় কর্মীদের পাশাপাশি বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন হন বিনিয়োগকারীরাও।
তারা মনে করছেন, নাটকীয় এ রদবদলের কারণে কোটি কোটি ডলার লোকসান হতে পারে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনি পরামর্শকদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন অনেকে।