স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় বন্দীবিনিময় করেছে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্ব। এ চুক্তির আওতায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচসহ উভয়পক্ষের ২৬ জন মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (২ আগস্ট) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের মধ্যস্থতায় এ বন্দীবিনিময় চুক্তি হয়েছে। এতে জড়িত রয়েছে সাতটি দেশ। চুক্তির আওতায় রাশিয়ার কারাগার থেকে ১৬ জন মুক্তি পেয়েছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আরও ১০ জন মুক্তি পেয়েছেন। এসব বন্দীদের আঙ্কারার মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রুশ কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন নাগরিক, একজন মার্কিন গ্রিন কার্ডধারী, পাঁচজন জার্মান ও সাতজন রাশিয়ার রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী রয়েছেন।
তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ১০ বন্দীর মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, স্লোভেনিয়া, পোল্যান্ড ও জার্মানির কারাগারে ছিলেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচের সঙ্গে সাবেক মার্কিন নৌ সেনা পল হুইলেন, রুশ-মার্কিন দ্বৈত নাগরিক অলসু কুরমাশেভা ও মার্কিন গ্রিন কার্ডধারী কারা মুর্জা মুক্তি পেয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পশ্চিমা- রাশিয়ার এ বন্দিবিনিময়ের এই চুক্তিকে কূটনৈতিক সফলতা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত বছর গ্রেফতার হয়েছিলেন মার্কিন সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচ। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গোয়েন্দা কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাবেক মার্কিন নৌ কর্মকর্তা হুইলেন। গত বছরে রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টির সাংবাদিক কুরমাশেভাকে উক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ২০২২ সালে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী কারা-মুর্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার তৎপরতা চালানো ও অসত্য তথ্য ছড়ানো অভিযোগ করা হয়েছিল। এ জন্য তাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।