চলমান দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও কৃষ্ণসাগর করিডোর দিয়ে ইউক্রেন থেকে কয়েক মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য রপ্তানির অনুমতি সংক্রান্ত একটি চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে রাশিয়া। যদিও এটি কতদিন স্থায়ী হবে তা স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে তৃতীয় দফা সময় বাড়াল দেশটি।
রোববার (১৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে চুক্তির মেয়াদ ১২০ দিনের জন্য বাড়ানোর দাবি জানানো হলেও ৬০ দিনের জন্য বাড়িয়েছে রাশিয়া।
এদিকে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা না হলে চুক্তিটি আর চলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে রাশিয়া।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ ও তুরস্ক গত জুলাইয়ে এ রপ্তানি চুক্তি করতে সহায়তা করেছিল।
বিশ্বের শীর্ষ খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো ইউক্রেন। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে যেসব দেশ, যেমন ইয়েমেন, ইউক্রেনের খাদ্য সরবরাহের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। যদিও গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রুশ নৌবাহিনী কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলোতে ইউক্রেনের জাহাজ প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শনিবার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে বলেন, “এই চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে জাতিসংঘের মহাসচিবকেও ধন্যবাদ জানাই।”
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া শুক্রবার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি চুক্তিটি অব্যাহত রাখতে চায় তবে রাশিয়ার কৃষি খাতকে উদ্দেশ্য করে যেসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলো স্থগিত করার জন্য দুই মাস সময় রয়েছে।”
এদিকে মস্কো বলছে, রাশিয়ার উৎপাদনকারীরা বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও বেশি খাদ্য ও সার রপ্তানি করতে ইচ্ছুক। কিন্তু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের বাধা দিচ্ছে।
জাতিসংঘের মতে, চুক্তিটির আওতায় ইতোমধ্যে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর বন্দর থেকে প্রায় ২৫ মিলিয়ন টন খাদ্যসামগ্রী বিশ্ব বাজারে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৪ মার্চ)) জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো বিষয়ে নিজেদের মত জানায় মস্কো। যদিও এ চুক্তির মধ্যস্থতাকারী জাতিসংঘ ও তুরস্ক এ মেয়াদ কমপক্ষে চার মাস বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল।