সুদানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) মুসলিমদের ঈদুল আজহা উপলক্ষে দুই দিনের ‘একক’ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফের কমান্ডার জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো সোমবার ফেসবুকে পোস্ট করা এক অডিও রেকর্ডিংয়ে বলেছেন, “আমরা ঈদের আগের দিন এবং ঈদুল আজহার দিনে আত্মরক্ষার পরিস্থিতি ব্যতীত একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছি।”
হেমেদতি আশা প্রকাশ করেন, ঈদের জন্য যুদ্ধ বিরতি সুদানের জনগণকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুযোগ দেবে। যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মানবিক পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধ থেকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারব বলে আশা করছি।”
যদিও সুদানের সেনাবাহিনী সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর আগে গত এপ্রিলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি পালন করেছিল। বাহিনীরটি পক্ষ থেকে সেসময় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং তাদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জেনারেলদের একটি কাউন্সিল সুদান পরিচালনা করছে। মূলত কাউন্সিলের শীর্ষ দুই সামরিক নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালোর মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। জেনারেল আল-বুরহান সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। সে কারণে তিনিই দেশটির প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে দেশটির উপনেতা জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফের কমান্ডার।
ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও তার সাবেক উপপ্রধান মোহাম্মেদ হামদান দাগলোর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে ২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। গৃহহীন হয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ।