জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। আর এ জন্য নয়াদিল্লিকে সাজিয়ে তুলতে ব্যয় করা হয়েছে ৪ হাজার ১০০ কোটি রুপি। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ি দুই দিনের এই সম্মেলনে ব্যয়ের হিসাব জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে জি-২০ সভাপতিত্বের জন্য ৯৯০ কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সভাপতিত্বের সরাসরি ব্যয়ের বরাদ্দের বাইরে দেশটি সম্মেলনের জন্য নয়াদিল্লিকে সাজাতে ব্যয় করেছে ৪ হাজার ১০০ কোটি রুপি।
দেশটির সরকারি রেকর্ড অনুযায়ি, ব্যয়ের খাতগুলোকে মোটা দাগে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। তাই এ সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে। এ ছাড়া রাস্তা, ফুটপাথ, সাইনবোর্ড ও লাইটের রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয়েছে বেশ ভালো অংকের অর্থ।
নয়টি সরকারি সংস্থা এক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিউ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল (এনডিএমসি), মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফ দিল্লি বা দিল্লি পৌরসভা থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলো মিলে উদ্যান বিভাগের উন্নতি থেকে শুরু করে জি-২০ ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ৭৫ লাখ থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি রুপি খরচ করেছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ইন্ডিয়া ট্রেড প্রমোশন অর্গানাইজেশন (আইটিপিও), সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয়, দিল্লি পুলিশ, এনডিএমসি এবং দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ডিডিএ) এই সম্মেলনের মোট ব্যয়ের ৯৮ শতাংশ বহন করছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু বেশিরভাগ এলাকা এনডিএমসির আওতায় পড়েছিল তাই অধিকাংশ ব্যয় বহন করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ। ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইটিপিও দিয়েছে ৮৭ শতাংশ। এরপর দিল্লি পুলিশ দিয়েছে ৩৪০ কোটি এবং এনডিএমসি দিয়েছে ৬০ কোটি। বাকি খরচ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর দিয়েছে।
জি-২০ এর আগের সম্মেলনগুলোতেও আয়োজক দেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। কানাডা টরোন্টোতে ২০১০ সালের শীর্ষ সম্মেলনে ৭১ কোটি ৫০ লাখ কানাডিয়ান ডলার খরচ করেছিল। ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসের শীর্ষ সম্মেলনে খরচ করা হয়েছিল ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার।