আটলান্টিক সাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানের কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে কানাডার সেন্ট জন’স পোতাশ্রয়ে দেশটির পতাকাবাহী একটি জাহাজ থেকে এসব ধ্বংসাবশেষ ক্রেনের সাহায্যে ট্রাকে তুলতে দেখা গেছে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বুধবার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্রুরা টাইটানের কয়েকটি টুকরো ‘হরাইজন আর্কটিক’ শিপ থেকে সেন্ট জোন্সের নিউফাউন্ডল্যান্ডে কানাডার কোস্ট গার্ড ঘাঁটিতে নামিয়ে নিচ্ছে।
এর আগে গত ১৮ জুন পর্যটকদের টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে আটলান্টিকে ডুব দেওয়া সাবমার্সিবল টাইটান সমুদ্রের তলদেশে কাছাকাছি পৌঁছানোর পর অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়। মারা যায় সেটিতে থাকা পাঁচ আরোহীর সবাই।
কানাডিয়ান ব্রডকাস্টার কর্পোরেশনের (সিবিসি) সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, টাইটানের অগ্রভাগ ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ ত্রিপলের মতো বস্তু দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় হরাইজন আর্কটিক জাহাজ থেকে নামানো হচ্ছে। ভিডিওতে জাহাজটি থেকে ঝুলন্ত তারের সঙ্গে টাইটানের মূল কাঠামো ও যন্ত্রপাতির একটি ছিন্ন অংশও নামাতে দেখা গেছে। বিধ্বস্ত ডুবোযানটির পাঁচটি অংশ উদ্ধার হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের ফলে টাইটানের ভাগ্যে ঠিক কী ঘটেছিল তা স্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ধ্বংসাবশেষগুলো কোথায় নেওয়া হচ্ছিল তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
মূল জাহাজের সঙ্গে টাইটানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ কয়েকটি দেশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পাঁচ দিনের মাথায় ১৬ হাজার ফুট গভীরে টাইটানিকের অগ্রভাগের কাছে এর ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়।
কী কারণে টাইটান বিধ্বস্ত হয়েছে তা অনুসন্ধানে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের যৌথ তদন্তদল।
১৯১২ সালে নিজের প্রথম সমুদ্র যাত্রাতেই ডুবে যায় ওই সময়ের সর্ববৃহৎ জাহাজ টাইটানিক। মারা যায় দেড় হাজারের বেশি যাত্রী ও ক্রু। ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়া সেই টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পর্যটকদের দেখাতে নিয়ে যেত ওশানগেইট নামে একটি পর্যটন সংস্থা। এজন্য জনপ্রতি আড়াই লাখ ডলার গুণতে হতো।