হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ আরও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দ্বিতীয় দফার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। তদন্ত প্রতিবেদনে কোনো নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টারের অবশিষ্টাংশ এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশগুলোর ওপর পরিচালিত নমুনা ও পরীক্ষা এবং তাদের বিচ্ছুরণের ধরণ ও মূল অংশ থেকে আলাদা হওয়া অংশগুলোর দূরত্ব বিবেচনা করে বলা যায় যে, উড্ডয়নের সময় কিংবা পাহাড়ের ঢালে আঘাতের কিছুক্ষণ আগে কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।”
তদন্ত প্রতিবেদন আরও বলা হয়, ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ারের কারণেও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটেনি। এমনকি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার আগে তার কমিউনিকেশন সিস্টেম বা ফ্রিকোয়েন্সিতে কোনো সমস্যা ছিল না। তবে এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মূল কারণ বের করার আগ পর্যন্ত আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা চলতে থাকবে।
এর আগে গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাদের সফরসঙ্গীদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম, পূর্ব আজারবাইজান গভর্নর-জেনারেল মালেক রহমাতি, রাইসির নিরাপত্তা দলের প্রধান দ্বিতীয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদি মুসাভি, আইআরজিসির আনসার আল-মাহদি বিভাগের সদস্য এবং সেইসঙ্গে অজ্ঞাতনামা পাইলট, কো-পাইলটসহ ক্রু চিফ দুর্ঘটনায় মারা যান।