গত সাত মাসের যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গাজার নিজস্ব কোনো বন্দর অবকাঠামো না থাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো নিয়ে ছিল জটিলতা। অবশেষে সেই জটিলতা কিছুটা হলেও নিরসন হয়েছে। মার্কিন-নির্মিত ভাসমান বন্দর হয়ে গাজায় পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ।
শনিবার (১৮ মে) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের পাঠানো একটি প্রাথমিক চিকিৎসার চালান গাজায় পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, কয়েক মাস আলোচনার পর ভাসমান বন্দরের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ এবং সমন্বয়ে সহায়তা করতে সম্মত হয় জাতিসংঘ। মানবিক কার্যক্রমের নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংস্থাটি এই উদ্যোগ নেয়।
একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভাসমান এই বন্দর দিয়ে ত্রাণ প্রবেশ কার্যক্রমের জন্য আনুমানিক ৩২ কোটি ডলার খরচ হবে। এই কার্যক্রমে দায়িত্বে থাকবেন ১ হাজার মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের অতিরিক্ত সহায়তার জন্য একটি চলমান ও বহুজাতিক প্রচেষ্টা এটি। এর আওতায় বেশ কয়েকটি দেশ এবং মানবিক সংস্থার ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে।
তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস দাবি করেছে, এই বন্দর দিয়ে আসা ত্রাণ গাজাবাসীর মানবিক চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
হামাস বলেছে, “গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অনাহার এবং অবরোধের ইচ্ছা এবং পূর্বপরিকল্পিত নীতির জন্য আমরা ইসরায়েলি দখলদার এবং মার্কিন প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করি।”