মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় শুরু হয়েছে। প্রথমে ভারমন্ট রাজ্যে ভোট শুরু হয়। এরপর ৬টা থেকে অন্যান্য রাজ্যেও ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দেশটির মিসৌরি, ফ্লোরিডা ও টেক্সাস রাজ্যে পর্যবেক্ষকদের কাজ করা নিয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দেশটির ফ্লোরিডা ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা এক ঘোষণায় বলেছেন, মঙ্গলবার ভোট গ্রহণের সময় তারা মার্কিন বিচার বিভাগের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেবেন না। অপর অঙ্গরাজ্য মিসৌরি ভোটকেন্দ্রে ফেডারেল পর্যবেক্ষকদের প্রবেশ আটকানোর জন্য একটি মামলা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে টেক্সাসের সেক্রেটারি অব স্টেট জেন নেলসন লিখেছেন, “টেক্সাসের আইনটি পরিষ্কার, বিচার বিভাগের পর্যবেক্ষকদের ভোটদানের স্থান যেখানে ব্যালট দেওয়া হচ্ছে বা একটি কেন্দ্রীয় গণনা কেন্দ্র, যেখানে ব্যালট গণনা করা হচ্ছে, সেখানে অনুমতি দেওয়া হয় না।”
আরও লিখেছেন, “ভোটাররা যাতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য টেক্সাসে একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি রয়েছে।”
মিসৌরির মামলায় সেক্রেটারি অব স্টেট জে অ্যাশক্রফ্ট ফেডারেল সরকারকে ‘মিসৌরির নির্বাচনে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপের চেষ্টা’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন রাজ্যগুলোতে ফেডারেল পর্যবেক্ষকদের ঠেলে দেওয়ার পদক্ষেপ ভোটের আইন লঙ্ঘন করে বলে এসব রাজ্য ফেডারেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আসছে।
মার্কিন বিচার বিভাগ নির্বাচনের দিন ২৭টি অঙ্গরাজ্যে তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ম্যারিকোপা কাউন্টি, অ্যারিজোনা, ফুলটন কাউন্টি এবং জর্জিয়া।
এর আগে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে যাওয়ার পর ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাকে চাপ দিয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।