গত জুনে ভাড়াটে বাহিনী ভাগনারের বিদ্রোহের পর থেকে বাহিনীটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলে এক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোশিনের মৃত্যু সংবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে আল-জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্র
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোশিনের মৃত্যুতে তিনি অবাক হননি। তিনি এ দুর্ঘটনার পেছনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন। বাইডেন বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে জানি না কী হয়েছে, কিন্তু আমি অবাক হইনি। রাশিয়ায় যা ঘটে তার প্রায় সব কিছুর পেছনে পুতিনের হাত থাকে।”
এক বিবৃতিতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মুখপাত্র আদ্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, “যদি সত্যিই প্রিগোশিন নিহত হয়ে থাকেন, তাতে কেউ অবাক হবে না।”
ইউক্রেন
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সহকারী মিখাইলো পোডোলিয়াক সামিাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, বিমান বিধ্বস্ত হওয়া হলো রাশিয়ার বিপক্ষে যে যাবে তার জন্য ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে একটি সতর্কতা। তিনি আরও বলেন, “অভ্যুত্থান চেষ্টার দুই মাস পর প্রিগোশিনের এই পরিণতি ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে পুতিনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার অভিজাতদের জন্য একটি সতর্কতা। সাবধান! বিশ্বাসঘাতকতা করলে মৃত্যু।”
এস্তোনিয়া
সিএনএনকে এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কালাস বলেন, পুতিন তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের এবাবে হত্যা করে যে-ই ভিন্ন মতপ্রকাশ করতে চাইবে তাদের ভয় দেখাবেন।
পোলান্ড
পোলান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিবিগনিউ রাও রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম টিভিএফ ইনফোকে বলেন, যারা পুতিনের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে তারা কেউ স্বাভাবিক মৃত্যু পান না। তিনি বলেন, “কেউ এটিকে কাকতালীয় ঘটনা বলে মনে করছে না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যাদের পুতিন মানে করেন হুমকি, তাদের কারও স্বাভাবিক মৃত্যু হয় না।”
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য অ্যালিসিয়া কিয়ার্নস বলেন, রুশ সরকার যত দ্রুততার সঙ্গে বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোশিনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছে, তা থেকে আমরা যা বোঝার তা বুঝতে পারি।