ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনির ইমামতিতে তেহরানে সম্পন্ন হয়েছে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা।
বুধবার (২২ মে) সকালে ইরানের রাজধানী তেহরান শহরে এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা নিহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ।
জানাজা পরিচালনার আগে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে নিহতদের বিদেহী আত্নার জন্য দোয়া কামনা করেন।
আইআরএনএ জানায়, তেহরানে রাইসির জানাজায় অগণিত ইরানি জনগণ, সরকারি শাখার প্রধান এবং সামরিক কর্মকর্তাদের ঢল নামে। এ সময় প্রয়াত প্রেসিডেন্টের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রশংসা জানিয়ে নানা ধরনের ব্যনারে ছেয়ে গেছে ইরানের রাজধানী।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রাইসির স্মরণে বুধবার বিকেলে তেহরানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সেখানে ৪০ জনেরও বেশি উচ্চপদস্থ বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
এদের মধ্যে ১০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, ২০টি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং বাকিরা বিভিন্ন স্তরে যেমন সংসদের স্পিকার, বিশেষ দূত ইত্যাদি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে ইরনা।
এর আগে মঙ্গলবার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে জানাজা শেষে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সঙ্গীদের মরদেহ তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে করে রাজধানীতে নিয়ে আসা হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ আরও সাত কর্মকর্তার জানাজা একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত রোববার একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।
উদ্বোধন শেষে আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফেরার পথে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে দুর্ঘটনার কবলে পরে প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারা।
তবে অন্য দুটি হেলিকপ্টার অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে।
ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার টানা অভিযান শেষে সোমবার হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায় উদ্ধারকারী দল। হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নয়জন নিহত হন।