• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৭৫ বছরে দুবাইয়ে এমন বৃষ্টি, যা জানালেন বিশেষজ্ঞরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
৭৫ বছরে দুবাইয়ে এমন বৃষ্টি, যা জানালেন বিশেষজ্ঞরা

ভারী বর্ষণে মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। আর দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরের মধ্যে একটি হলো দুবাই। শহরটির রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে শপিং মল ও বিমানবন্দর থইথই করছে পানি। এতে বিপর্যস্ত হচ্ছে বিমানসহ সব পরিবহন পরিষেবা। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। আর সেই দেশটিতেই এখন প্রবল বৃষ্টিপাত, ভয়াবহ বন্যা। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুবাইয়ের বিরল এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

তাতে দেখা যায়, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিমানবন্দর সব পানিতে টইটম্বুর। কোমরপানির স্রোতে খেলনার মতো ভাসছে বুগাতি, ফেরারি ও মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো দামি দামি গাড়ি। 
এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যবহারকারকারী লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত মানুষজন ঘর থেকে বের হবে না। রাস্তাঘাট নদীতে পরিণত হয়েছে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাত আবহাওয়া দপ্তর বলছে, গত ৭৫ বছরে এত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, মরুর দেশে হঠাৎ কেন এত বৃষ্টিপাত? এর জন্য ‘ক্লাউড সিডিং’কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, আকাশে ভেসে থাকা বৃষ্টির অনুপযোগী মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে মাটিতে ঝরে পড়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘনীভবন প্রয়োজন হয়। স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি না হলে ড্রাই আইস অথবা সিলভার আয়োডাইড ব্যবহার করে মেঘের ঘনীভবন ঘটানো যায়।

ড্রাই আইসের তাপমাত্রা মাইনাস ৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে। ভেসে থাকা মেঘের ওপর এই ড্রাই আইসের গুড়া ছড়িয়ে দিলে সেটা ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি হয়ে মাটিতে পড়ে। এই প্রক্রিয়াকেই ক্লাউড সিডিং বলা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলতি সপ্তাহে যে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে, এর মূল কারণ ক্লাউড সিডিং। পানির নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০২ সাল থেকে অর্থাৎ গত প্রায় ২২ বছর ধরে এই ক্লাউড সিডিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে দেশটির সরকার।

পরিবেশবিদদের মতে, ক্লাউড সিডিং পরিবেশের জন্য ভালো নয়। এর নানান ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। যেসব এলাকায় ক্লাউড সিডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেখানে সাধারণত অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য পরিকাঠামো থাকে না। ফলে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবহাওয়া বিভাগ ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি বৃষ্টি নামানোর লক্ষ্যে গত সোমবার ও মঙ্গলবার আল আইন বিমানবন্দর থেকে ক্লাউড সিডিং বিমান প্রেরণ করে। এর ফলে এই দুই দিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতিবেশী দেশ ওমানেও প্রবল বর্ষণ হয়েছে। ফলে দেশটিতে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!