মোদি পদবি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সাজা স্থগিত হওয়ার পর সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট তার শাস্তি স্থগিত করে। সোমবার (৭ আগস্ট) রাহুলকে সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। স্পিকারের সচিবালয় থেকে সকালে ওই বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন বিরোধীরা, সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন রাহুল। যোগ দিতে পারবেন ওই সংক্রান্ত বিতর্কেও।
মোদি পদবি অবমাননা মামলায় রাহুলকে মার্চ মাসে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাটের আদালত। তাকে দুই বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছিলেন সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। ওই সাজার কারণে রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়ে যায়। এমনকি আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। কিন্তু শুক্রবার রাহুলের সেই শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশের পরই রাহুলকে তার সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লোকসভায় আর্জি পেশ করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, “আমরা আশা করব স্পিকার যেমন দ্রুততার সঙ্গে রাহুলজির পদ খারিজ করেছিলেন, তেমনই সক্রিয়তা দেখা যাবে সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও।”
লোকসভার স্পিকারের সচিবালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যেহেতু রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত, তাই আপাতত তার সংসদ সদস্য পদ খারিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো।”
কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালে রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে কর্ণাটকের কোলার জেলায় এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি পদবি-সম্পর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। দুর্নীতির মামলায় জড়িত পলাতক নীরব মোদি, ললিত মোদির নাম উল্লেখ করে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, চোরদের পদবি কেন মোদি হয়।
ওই ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি সুরাট জেলা আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির অপরাধে মামলা করেন। সেই মামলায় রাহুলের দুই বছরের সাজা হয়। এরপর তড়িঘড়ি করে রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ বাতিল করা হয়।