কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ২৩ মার্চ। তার আগেই আগেই ৯০০টির বেশি ভোগ্যপণ্যের দাম কমিয়েছে কাতার। প্রতিবছর রমজান মাস আসার আগেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দেশটি।
সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত রোববার (১২ মার্চ) থেকে দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্য বিশেষ মূল্যছাড়ে বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে রমজান শেষ হওয়া পর্যন্ত। দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানিয়েছে, “পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আমরা ১২ মার্চ থেকে রমজান মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোগ্যপণ্যের মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত। খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
প্রয়োজনীয় যেসব খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম কমানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চাল, ময়দা, নুডলস, দই ও দুগ্ধজাত পণ্য, সিরিয়াল ও কর্নফ্লেক্স, গুঁড়ো দুধ ও কনডেন্সড মিল্ক, রান্নার তেল, মাখন, পনির, জুস, চিনি, কফি, লবণ, খেজুর, বোতলজাত পানি, টিস্যু পেপার, ডিটারজেন্ট পাউডার, পেস্ট্রি, লেবু, হিমায়িত শাকসবজি, মুরগি, ডিম, মাংস, টমেটোর পেস্ট, চা, ঘি, খামির, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যপণ্য, আবর্জনা ব্যাগসহ আরও অনেক কিছু।
রমজান মাস এলেই আরব দেশগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। অনেক দোকানি খাবার ফ্রিও দেন। তারা দোকানের সামনে পণ্যগুলো রেখে দেন এবং গায়ে লিখে দেন আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য নিতে পারেন। মূল্য দিতে হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। এরপর ২০২২ সালে কমিয়েছিল আট শতাধিক পণ্যের। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে নয় শ ছাড়িয়েছে।