দীর্ঘ দেড় মাসব্যাপী সংঘাতের পর বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে ইসরায়েল ও হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি কিছু কারণে পিছিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সিএনএন।
যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধবিরতি কখন থেকে শুরু হবে তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানাবে তারা।
কাতারের একটি কূটনৈতিক সূত্র সিএনএনকে জানায়, কাল শুক্রবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে দুই পক্ষ বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। সেইসঙ্গে দুপক্ষের কাছে থাকা বন্দীদের মুক্তির প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জানান, বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সে ব্যাপারে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে এবং এ আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে হামাস-ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরসহ আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কাজ চলছে। এছাড়া দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত যেন মানে সে বিষয়টি নিশ্চিতে যা প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।”
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) থেকে যদি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়, তাহলে আগামী ৪ দিনের মধ্যে হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। দুই পক্ষই মূলত নারী ও শিশুদের মুক্তি দেবে। সূত্র: সিএনএন