রাশিয়ার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে ইচ্ছুক সাবেক টিভি সাংবাদিক ইয়েকাতেরিনা ডান্টসোভার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার সাবেক টিভি সাংবাদিক ইয়েকাতেরিনা ডান্টসোভা দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধে ইতি টানার জন্য এ নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ইয়েকাতেরিনার আবেদনের তিনদিনের মাথায় শনিবার তার প্রার্থীতা বাতিল করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তারা প্রার্থীতা বাতিলের জন্য ইয়েকাতেরিনার আবেদন ফরমে ‘১০০ টি ভুলের’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে ইয়েকাতেরিনা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিলের কথা জানান। সাবেক এই টিভি সাংবাদিক গত নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন।
তিনি তখন রয়টার্সকে বলেন, “যেকোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি এই পদক্ষেপ নিতে ভয় পাবেন। তবে ভয়কে জয়ী হতে দেওয়া উচিত নয়।”
মস্কো বহু বছর ধরে বিরোধী নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। আগামী মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়ার জনগণের মধ্যে সত্যিকার অর্থেই পুতিনের সমর্থন আছে বলে দাবি ক্রেমলিনের।
ইয়েকাতেরিনা ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানা এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির প্রচারণার পরিকল্পনা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের পর দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানান ইয়েকাতেরিনা। তিনি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, “যেহেতু এ সিদ্ধান্ত আইনের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া নয়, তাই আমরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব।”
প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এখন পর্যন্ত ২৯ জন আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশন শনিবারের সিদ্ধান্তের পর আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনই একমাত্র প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধন করতে পরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।