ভাগনারসহ রাশিয়ার অন্যান্য ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের রাশিয়ার প্রতি অনুগত থাকার শপথ নিতে বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে সামরিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন, রুশ বাহিনীকে সহযোগিতা করছেন এবং আঞ্চলিক প্রতিরোধযোদ্ধা হিসেবে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছেন, এমন সব ব্যক্তিকেই এ আদেশ মানতে হবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভ্লাদিমির পুতিন আদেশটিতে স্বাক্ষর করেন। আদেশটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়।
ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হওয়ার সংবাদের দুই দিন পর পুতিন এই আদেশ জারি করলেন।
এদিকে শনিবার (২৬ আগস্ট) রুশিচ নামে ভাগনারের একটি কট্টর ডানপন্থী উপশাখা জানিয়েছে, ইউক্রেনে সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
এক টেলিগ্রাম বার্তায় রুশিচ অভিযোগ করেছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইয়ান পেত্রোভস্কিকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রসঙ্গত, পেত্রোভস্কি ফিনল্যাণ্ডে ভিসা নীতি ভঙ্গের অভিযোগে আটক হয়েছেন। তাকে ইউক্রেনে প্রত্যাবর্তণ করা হবে।
গত জুনে প্রিগোশিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন ভাগনার সেনারা। এ ঘটনার পর পুতিন তার কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতেই এই আদেশ দিয়েছেন বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের ন্যাটিয়া সেসকুরিয়া বিবিসিকে বলেন, “পুতিন ভাগনারের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন যে, ভবিষ্যতে তাকে আর কোনো সংকট মোকাবেলা করতে হবে না।”
এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছিল।