রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাঁটা-চলাতেও রয়েছে নায়োকচিত ভঙ্গিমা। রয়েছে প্লেবয় ইমেজও। যে কোনো অস্ত্র চালানো থেকে শুরু করে হর্স রেসিং, কারাতে, মল্লযুদ্ধ, লরি চালানোর মতো কঠিন সব খেলাতেও সিদ্ধহস্ত তিনি। তার জীবনযাপন হলিউডের যে কোনো নায়ককেও হার মানায়।
উত্তর কোরিয়া সফরে এসব গুণাবলীর ছোট্ট এক চমক দিয়ে গেলেন পুতিন। তিনি নিজে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে পাশে বসিয়ে গাড়ি পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তা দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। গাড়ি চালানোয় হার মানালেন জেমস বন্ডকেও।
এ ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে এই ভিডিও প্রথম প্রচার করে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রেমলিন নেতা চালকের আসনে বসে আছেন পুতিন। চালকের পাশের যাত্রীর আসনে বসে আছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং। দুজনেই হাসিমুখে কথা বলছেন। গাড়িটি ম্যানিকিউরড পার্ক এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল।
পরে সেই গাড়ি তিনি ‘বন্ধু’কে কিমকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন। পুতিন এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে কিমকে রাশিয়ান নির্মিত লিমুজিন উপহার দিয়েছিলেন। আবারও তাকে অরাস ব্রান্ডের একই গাড়ি উপহার দিলেন। কিম খুবই গাড়ি পছন্দ করেন। তার কাছে দুটি রাশিয়ান গাড়ি আছে এখন।
শর্ট ড্রাইভের পর দুই নেতাকে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা যায়। একটি সবুজ বনাঞ্চল ঘেরা জায়গার পাশ দিয়ে তারা যাচ্ছিলেন। দুজনকে মনোযোগ দিয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। গাড়ি ছাড়াও কিমকে সেনাবাহিনীর অ্যাডমিরাল ড্যাগার এবং একটি ট–সেট উপহার দিয়েছেন পুতিন।
১৮ জুন উত্তর কোরিয়াতে পা রাখার পর দিনই পুতিন বৈঠক করেছেন সেদেশের নেতা কিম জং উনের সঙ্গে। দীর্ঘ আলোচনার পর সামরিক চুক্তি সই করেন দুজন। রাশিয়া কিংবা উত্তর কোরিয়াতে, অন্য দেশ আক্রমণ হানলেই একে অপরের পাশে দাঁড়াবেন পুতিন ও কিম।
নাম না করলেও যে দুজনের ইঙ্গিত আমেরিকার দিকেই তা স্পষ্ট। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের পাশে রয়েছে আমেরিকা। আবার কিমের দেশের সঙ্গেও ‘শত্রুতা’র অন্ত নেই ওয়াশিংটনের। সেই কারণে মার্কিন মিত্র প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে সব সময়ই দৌড়ের ওপর রাখতে পছন্দ করেন কিম।