পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনের তিন দিন পর রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এরপর ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে পিটিআইসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। আর এর প্রেক্ষিতে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
রোববার এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
ইসলামাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গণজমায়েত বা সমাবেশ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু মানুষ নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি অফিসের সামনে উস্কানিমূলক জমায়েত করছেন। পরিষ্কারভাবে বলা হচ্ছে, গণজমায়েতের জন্য উস্কানি দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ।
এর আগে, ভোট চুরির অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দেয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। পরে সিদ্ধান্ত বদল করে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি দেয় দলটি।
পিটিআইয়ের দাবি, তারা একক দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। কিন্তু এরপরও তারা যেন সরকার গঠন করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন আসনের ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাদের হারানো হয়েছে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেখা গেছে, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৬টি আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) জয় পেয়েছে ১৭টি আসন।