আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উঠল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) চার্জশিটে। ভারতের হরিয়ানার ফরিদাবাদে কিছু কৃষিজমি কেনাবেচা মামলার চার্জশিটে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কার নাম ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির চার্জশিটে প্রথমবারের মতো প্রিয়াঙ্কার নাম উল্লেখ করা হলো। তবে এতে তাকে অভিযুক্ত দেখানো হয়নি। ইডির চার্জশিটে বলা হয়, দিল্লির এক এজেন্ট এইচ এল পাহওয়ার কাছ থেকে প্রিয়াঙ্কা ২০০৬ সালে কিছু জমি ও বাড়ি কিনেছিলেন। চার বছর পর ২০১০ সালে সেই জমিই আবার ওই এজেন্টের কাছে তিনি বিক্রি করেন।
ইডির দাবি, ওই একই এজেন্টের কাছ থেকে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্টও ২০০৫-এর দিকে ৪০ একরের কাছাকাছি জমি কেনেন। সেই জমিও ২০১০ সালে আবার তার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ইডির চার্জশিটে রবার্টের নামও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার মতো রবার্টকেও অভিযুক্ত করা হয়নি।
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও বেনামি সম্পত্তি কেনাবেচার অভিযোগে রবার্টকে ইডি ছয় ঘণ্টা ধরে জেরা করেছিল। পাঁচ বছর পর লোকসভা ভোটের আগে এবার নাম জড়ানো হলো প্রিয়াঙ্কার।
প্রিয়াঙ্কা বা রবার্ট কেউই এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু ও মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের সঙ্গে আম আদমি পার্টির মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা কাক্কার ইডির সমালোচনা করেন। তাদের বক্তব্য, সরকার অনেক দিন ধরেই এভাবে বিরোধীদের দমাতে চাইছে। এটা নতুন কিছু নয়। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে বিজেপি কংগ্রেসকে নিয়ে কতটা ভীত।