প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারতের। অনেক বিশ্লেষকের মতে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গেও নয়াদিল্লির সম্পর্ক এখন বিপরীতমুখী। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় সেনাদের ‘ভবিষ্যৎ যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) লখনৌতে জয়েন্ট কমান্ডারস কনফারেন্সে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ’ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের দিকে নজর রাখা এবং ‘অপ্রত্যাশিত’ যেকোনো কিছু মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বানও জানান তিনি। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন আহ্বান?
অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় চীন সীমান্ত এবং প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোর পরিস্থিতি, যা ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ’ তৈরি করছে, সেসব বিবেচনা করে একটি বিস্তৃত এবং গভীর বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন রাজনাথ সিং।
প্রতিবেদন মতে, যৌথ সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি বিকশিত করার তাৎপর্য তুলে ধরে এবং উসকানি মোকাবিলায় সমন্বিত, দ্রুত এবং আনুপাতিক প্রতিক্রিয়ার ওপর জোর দিয়ে ‘ভবিষ্যৎ যুদ্ধে’ ভারত যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে তার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলেছেন রাজনাথ।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও, ভারত এক বিরল শান্তি উপভোগ করছে এবং দেশ শান্তিপূর্ণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের কারণে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বর্তমানের ওপর ফোকাস করতে হবে। বর্তমানে আমাদের চারপাশে ঘটছে এমন কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে হবে এবং ভবিষ্যৎমুখী হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এর জন্য আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা হতে হবে শক্তিশালী।”
ভারত ‘শান্তিপ্রিয় দেশ’, কিন্তু সশস্ত্র বাহিনীকে সেই ‘শান্তি রক্ষায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত’ থাকতে হবে বলেও এদিন জানিয়েছেন রাজনাথ সিং।
অনেক বিশ্লেষকের মতে, চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের পাশাপাশি প্রতিবেশী অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গেও বর্তমানে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। তবে দেশটি কারও সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে- সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন আশঙ্কা নেই বললেই চলে।