ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে পোপ ফ্রান্সিসকে রোমের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভ্যাটিকান সিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য পোপকে ‘কয়েকদিন’ হাসপাতালে কাটাতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ৮৬ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস বেশ কিছুদিন ধরেই শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা বলছিলেন। এরপর তার করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়েনি। তবে তাকে কয়েক দিনের হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ফ্রান্সিসকে হঠাৎ করেই বুধবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বিবৃতিতে জানানো হয়, চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে।
একজন ব্যক্তি বিবিসিকে বলেছেন, পোপের নিরাপত্তার কারণে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন হাসপাতালে রাত্রিযাপন করবেন। বর্তমানে পোপ ফ্রান্সিসের জন্য বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়।
ভ্যাটিকান সিটি প্রাথমিকভাবে বলেছিল, পোপ পূর্ব নির্ধারিত চেক-আপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। যদিও একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান বাতিল করার পরে ইতালিয়ান গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোপের সুস্থতার জন্য সকলকে ‘অতিরিক্ত প্রার্থনা’ করতে বলেছেন। বাইডেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি দ্বিতীয় রোমান ক্যাথলিক হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকালেই ভ্যাটিকানে পোপ সাপ্তাহিক সাধারণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। ওই সময় তাকে সুস্থই দেখা যায়।
পোপ ফ্রান্সিসের অবশ্য আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। মাত্র ২০ বছর বয়সে তার ফুসফুসের একটি অংশ ফেলে দিতে হয়। ওই সময় পাদ্রি হওয়ার জন্য নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় দীক্ষা নিচ্ছিলেন তিনি। ফুসফুসে অপারেশনের কারণে অল্পতেই তিনি শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যান।
তবে ফ্রান্সিস এবার এমন সময় অসুস্থ হলেন যখন তাকে ইস্টার সানডে উপলক্ষে ব্যস্ত থাকতে হবে। তবে তিনি ইস্টার সানডের কার্যক্রমে যোগ দিতে পারবেন কিনা এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিস ২০১৩ সাল থেকে ভ্যাটিকান সিটির পোপের দায়িত্বে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য খুব বেশি খারাপ না হয়ে গেলে এ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন না।