• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘প্লেজার ম্যারেজ’, তরুণীরা আয় করেন বিয়েপ্রতি ৩০০-৫০০ ডলার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
‘প্লেজার ম্যারেজ’, তরুণীরা আয় করেন বিয়েপ্রতি ৩০০-৫০০ ডলার
প্রতীকী ছবি

অর্থের বিনিময়ে অস্থায়ীভাবে কোনো পুরুষ পর্যটক নারীদের বিয়ে করতে পারবেন! শুনতে অবাক করার মতো হলেও ইন্দোনেশিয়ায় চলছে এমন ঘটনা। এ নিয়ে এরই মধ্যে অনলাইনে তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল পুনকাক আরব পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সেখানেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব নারীদের পর্যটকদের কাছে অর্থের বিনিময়ে সাময়িক সময়ের জন্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, পাহাড়ি রিসোর্ট কোটা বুঙ্গাতে পুরুষ পর্যটকদের সঙ্গে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে স্থানীয় নারীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দুই পক্ষই রাজি হলে দ্রুত এবং ঘরোয়াভাবে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষ পর্যটককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ দিতে হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের পর তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো সময় কাটাবেন এবং স্ত্রীকে ঘরের কাজ করতে হবে। এরপর ওই পুরুষ পর্যটকের যখন সফর শেষ হবে এবং তিনি দেশে চলে যাবেন তখন এই বিয়েও বাতিল হবে। 
এমন বিয়েকে প্লেজার ম্যারেজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিয়ে পদ্ধতি পুনকাকের পর্যটন খাতকে বৃদ্ধি করেছে। স্থানীয় অর্থনীতিও চাঙা হয়েছে। 

প্রথম দিকে মেয়েদের পরিবারের সদস্য বা পরিচিতরা পর্যটকদের সঙ্গে পরিচয় করে দিতেন। তবে এখন বিভিন্ন এজেন্সি এটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। 
কাহায়া নামে এক তরুণী লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসকে বলেছেন, তিনি ১৫ বারের বেশি বিয়ে করেছেন। এবং তার প্রতিটা ‘স্বামীই’ ছিল মধ্যপ্রাচ্যের। প্রথমবার তিনি যেই পর্যটককে বিয়ে করেছিলেন তিনি ছিলেন সৌদি আরবের। বয়স ছিল ৫০ বছর।

ওই ব্যক্তি বিয়ের জন্য খরচ করে ৮৫০ মার্কিন ডলার। তবে যেই এজেন্ট এবং ব্যক্তি এই বিয়ের আয়োজন করে তারা এই অর্থের অর্ধেক নিজে নেয়। বাকি অর্ধেক অর্থ নেয় কাহায়া।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, বিয়ের পাঁচ দিন পর সৌদির ওই ব্যক্তি দেশে চলে যায় এবং তাদের তালাক হয়। কাহায়া জানান, প্রতি বিয়ে থেকে তিনি ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার আয় করতে পারেন। 
নিসা নামে আরেক নারী জানান, তার অন্তত ২০ বার বিয়ে হয়েছে। তবে তিনি এই ব্যবসা ছাড়তে পেরেছেন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এনিয়ে তোলপাড় চলছে।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!