গৃহহীন নাগরিকদের তাঁবু ব্যবহার করে বসবাস করা বন্ধের পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভম্যান। অনেকে এটিকে জীবনযাপনের একটি কৌশল হিসেবে দেখছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রবিবার (৫ নভেম্বর) টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ ব্রেভম্যান জানান সত্যিকার অর্থে যারা গৃহহীন তাদের সব ধরনের সহায়তা করবে কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন,“ আমরা আমাদের সড়কগুলোকে এভাবে তাঁবু দিয়ে ঢেকে রাখতে পারি না। তাঁবুতে থাকা অনেক মানুষ বাইরের দেশ থেকে এখানে এসে এভাবে থাকছে। তারা এটাকে জীবন ধারনের একটা উপায় হিসেবে দেখছে।”
ব্রেভম্যান মনে করছেন যুক্তরাজ্য সরকার যদি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে রাজ্যের শহরগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস ও সান ফ্রান্সিসকোতে পরিণত হবে। যেখানে দুর্বল রাজনীতির সঙ্গে অপরাধ, মাদকসেবন, আর্বজনা ও দারিদ্রতাতে ভরে যাবে।
তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষকে যারা রাস্তায় ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প হিসেবে ছিলো। তাছাড়া স্থানীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকার সব ধরনের সহায়তা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।”
ব্রেভম্যান আরো বলেন, “আমরা যা বন্ধ করতে চাচ্ছি আর এ আইনের মাধ্যমে যা রুখতে চাচ্ছি তা হলো- রাস্তার পাশে তাঁবু টাঙিয়ে থাকা মানুষেরা যেন চুরি, ভিক্ষা, মাদকসেবনের মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য কোনো অস্বাস্থ্যকর আর অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি না করে। সেইসঙ্গে তারা যেন আমাদের জনসাধারণের জন্য বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।”
তবে বিরোধী দলের লিবারেল পার্টির সহকারী নেতা এঞ্জেলা রেনার ব্রেভম্যানের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেন, “রাস্তায় থাকা কখনোই জীবন ধারনের কৌশল হতে পারে না।” তিনি বলেন,“এটি পরিষ্কার করা দরকার- রাস্তায় থাকা জীবন ধারনের কোনো কৌশল নয়। এটি একটি ব্যর্থ সরকারের প্রতীক।”