• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তদন্ত কার্যক্রম চালাতে গিয়ে ২০ মন্ত্রীর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক সরকারি কর্মকর্তার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
তদন্ত কার্যক্রম চালাতে গিয়ে ২০ মন্ত্রীর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক সরকারি কর্মকর্তার
প্রতীকী ছবি

তাকে দেওয়া হয়েছিল দুর্নীতির তদন্ত করতে। বিশেষ করে মন্ত্রীদের দুর্নীতি তদন্ত করতে। সেখানে মন্ত্রীদের বাসাবাড়িতে গিয়ে তাদের স্ত্রীদের ওপর নজর পড়ে ওই কর্মকর্তার। সেটি শেষ অবধি শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়।

ঘটানাটি আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গিনির। সেখানে প্রেসিডেন্টের আত্মীয় থেকে শুরু করে ২০ জনের বেশি মন্ত্রীর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্করত অবস্থায় জাতীয় আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার পরিচালকের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। চার শতাধিক যৌন টেপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। প্রত্যেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার পরিচালক স্বয়ং। 

বিবিসির খবরে বলা হয়, দেশটির জাতীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থার (ন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এএনআইএফ) পরিচালক বালতাসার ইবাং এনগোঙ্গাকে একাধিক নারীর সঙ্গে সংগমরত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর এসব যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আটকাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি নিরক্ষীয় গিনির সরকার। বেশ কয়েকটি জালিয়াতি মামলার তদন্তভার ছিল এনগোঙ্গার হাতে। ফলে এসব তদন্ত কার্যক্রম চালাতে গিয়েই এসব ঘটনা ঘটেছে কি না, এমন চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে মধ্য আফ্রিকার দেশটির প্রশাসন।

যৌন কেলেঙ্কারির টেপ প্রকাশ্যে আসতেই এনগোঙ্গার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাকে কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে প্রেসিডেন্টের এক আত্মীয়াকেও তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তার স্ত্রী এবং ভ্রাতৃবধূর সঙ্গে এনগোঙ্গাকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখা গিয়েছে।


গিনি প্রশাসনের দাবি, ২০ জনের বেশি মন্ত্রীদের স্ত্রীর সঙ্গে সংগমরত অবস্থায় থাকা আর্থিক জালিয়াতি দমন শাখার কর্মকর্তার ভিডিও ফাঁস হয়েছে। চার শতাধিক যৌন টেপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। যা অর্থ মন্ত্রণালয়, এনগোঙ্গার দপ্তর, সরকারি বিশ্রামাগার এবং হোটেলে শুট করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে।

এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন নিরক্ষীয় গিনির ভাইস প্রেসিডেন্ট তেওডোরো এনগুয়েমা ওবিয়াং মাঙ্গু। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) করা একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যে সমস্ত সরকারি কর্মচারী জড়িত, তাদের প্রত্যেককে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হবে। কারণ, এটা তাদের আচরণবিধির পরিপন্থী। জনগণের নৈতিকতার আইনকে সরাসরি লঙ্ঘন করেছেন তারা।’

তদন্তকারীদের দাবি, প্রথমে এনগোঙ্গার যৌন ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়েছিল। পরে তা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্ট করা হয়। ভিডিওগুলো ভাইরাল করার নেপথ্যে কোনো চক্র কাজ করেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Link copied!