যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এরই মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পেনসিলভানিয়ার কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ট্রাম্প ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
আমেরিকার ইতিহাসে পেনসিলভানিয়ার গুরুত্ব খুবই। এই রাজ্য দখলের লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। ট্রাম্প হোক বা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের কাছে ‘পাখির চোখ’ পেনসিলভানিয়া। প্রচারের শেষবেলাতেও দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে এই প্রদেশে।
এর আগে ২০২০ সালেও একই অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেবার পেনসিলভানিয়াতে হারের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসাবে ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন ভোট কারচুপির।
আমেরিকার রাজনীতিতে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেট’ নামে পরিচিত পেনসিলভানিয়া। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পেনসিলভানিয়ার মতো সাতটি প্রদেশই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে। ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত প্রায় তিন দশক ডেমোক্র্যাটদের দখলে ছিল পেনসিলভানিয়া। কিন্তু ২০১৬ সালে ধাক্কা দেন ট্রাম্প। হিলারি ক্লিনটনের মুখ থেকে পেনসিলভানিয়া ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২০ সালে নির্বাচনে সেখানেই হারতে হয় ট্রাম্পকে। লাল পতাকা নামিয়ে ডেমোক্র্যাটেরা পেনসিলভানিয়া উড়িয়েছিলেন নীল পতাকা। সে বার ভোটের ফলাফল অস্বীকার করেছিলেন ট্রাম্প। এবারও যদি পেনসিলভানিয়াতে ট্রাম্প হারেন একই কাণ্ড ঘটাতে পারেন বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।