• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টাইটানিকের যাত্রীর বংশধরেরও মৃত্যু টাইটানিক দেখতে গিয়ে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০৩:৩৫ পিএম
টাইটানিকের যাত্রীর বংশধরেরও মৃত্যু টাইটানিক দেখতে গিয়ে

১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে তলিয়ে গেছে বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক। সেই জাহাজের প্রথম শ্রেণির যাত্রী ছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি ইডিটর স্ট্রস ও ইডা স্ট্রস। ওই ঘটনায় তাদের দুজনেরই মৃত্যু হয়েছিল। এই বৃদ্ধ দম্পতির কথা টাইটানিক সিনেমায় তুলে ধরেছিলেন পরিচালক জেমস ক্যামেরন। লাইফ জ্যাকেট খুলে ফেলে তারা পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে একসঙ্গে বিছানায় শুয়ে শান্তভাবে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন।

এরপর এক শতাব্দীর বেশি সময় পেরিয়েছে। এত বছর পর আবারও এই টাইটানিক কেড়ে নিল একই বংশের আরেক সদস্য ওয়েন্ডি রাশের স্বামী স্টকটোন রাশকে। স্ট্রস দম্পতি প্রপৌত্রী ওয়েন্ডি রাশ। আটলান্টিকে সলিল সমাধি হয়েছিল বৃদ্ধ দম্পতি ইডিটর স্ট্রস ও স্ট্রস। আর সেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যটকদের দেখাতে নিয়ে গিয়েই সমুদ্রের বুকে নিখোঁজ হয়েছেন ওয়েন্ডির স্বামী স্টকটোন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

এর আগে গত রোববার (১৮ জুন) সাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে সমুদ্রে ডুব দেয় ছোট আকৃতির সাবমেরিন। এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই এটির সঙ্গে ওপরে থাকা জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

টানা চার দিন অনুসন্ধানের পর টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া গিয়েছে টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসস্তূপ। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) উদ্ধারকারীরা টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান। ফলে মারা গেছেন সাবমেরিনটিতে থাকা পাঁচ আরোহী।

টাইটানিক ১৯১২ সালে সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক আসার পথে একটি বরফ খণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এটি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বড় জাহাজ এবং প্রথম যাত্রাও তা শেষ করতে পারেনি। ওই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী এবং ক্রুদের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের তালিকায় নাম ছিল ইসিডর ও ইডা স্ট্রসের। ঘটনার দুদিন পর ইসিডরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ইডার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশ শতকে এই স্ট্রস দম্পতি ছিলেন ব্রিটেনের ধনকুবেরদের অন্যতম।

নিউইয়র্ক টাইমস সূত্রে জানা গেছে, স্ট্রস দম্পতির একমাত্র মেয়ে মিনি। তিনি ১৯০৫ সালে ডা. রিচার্ড উইলকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের পুত্র জুনিয়র উইল নিউইয়র্কের মেয়র হন। তার পুত্র তৃতীয় রিচার্ড উইল পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তারই মেয়ে হলেন ওয়েন্ডি রাশ। তিনি ১৯৮৬ সালে স্টকটোন রাশকে বিয়ে করেন।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!