যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলিন মিউজিয়ামের আংশিক দখল করে নিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৩১ মে) তারা জাদুঘরটিতে প্রবেশ করেন। এরপর প্রধান প্রবেশপথে ফিলিস্তিনের পতাকা টানিয়ে দেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ‘উইদিন আওয়ার লাইফটাইম’ নামে একটি ফিলিস্তিনপন্থি সংগঠন গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ব্রুকলিন মিউজিয়াম দখল করার আহ্বান জানায়। সংগঠনটি বলেছে, জাদুঘরটি দখল করে ইসরাইলের বিনিয়োগ জনসমক্ষে প্রকাশ করতে বাধ্য করা এবং ইসরাইলকে যে কোনো তহবিল দেওয়া থেকে বিরত রাখতে এটি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাদুঘরে ঢুকে অধিকাংশ লবি নিজেদের দখলে নিয়ে নেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তাদের।
ব্রুকলিনের আর্ট মিউজিয়াম বলেছে, বিশৃঙ্খলার কারণে এক ঘণ্টা আগেই জাদুঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
রয়টার্সের একজন সাংবাদিক জানান, যাদের আটক হয়েছে তাদের মধ্যে একজন জাদুঘরের বাইরে একটি ভাস্কর্যে স্প্রে-পেইন্ট করছিলেন।
জাদুঘরের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমাদের প্লাজায় থাকা নতুন ও পুরানো বেশ কয়েকটি শিল্পকর্ম বিকৃত করেছে বিক্ষোভকারীরা।“এ সময় ভবনের ভেতরে ঢুকে তারা নিরাপত্তা কর্মীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মুখপাত্র আরও বলেন, ভবনের সুরক্ষা, শিল্পকর্মগুলো বাঁচানো এবং কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এক ঘণ্টা আগেই জাদুঘরটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর দর্শনার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে বের করে আনা হয়।
রয়টার্সের সাংবাদিক আরও জানান, যখন কয়েকজন বিক্ষোভকারী জাদুঘরের ভেতরে ঢুকছিলেন তখন তাদের পেছন পেছন শত শত বিক্ষোভকারী ব্রুকলিনের ভেতরে মিছিল নিয়ে আসেন। এ সময় নিরাপত্তা কর্মীদের বাধায় সবাই ভেতরে ঢুকতে পারেননি। তবে কয়েকজন জোর করে ঢুকে পড়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা ব্রুকলিন জাদুঘরে যে ব্যানারটি ঝুলিয়ে দেন তাতে লেখা ছিল- ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো, গণহত্যা থেকে সরে আসো।’
এর আগে গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের বিরোধিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।