• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্রিকসে পাকিস্তানের আবেদন, বাধা হতে পারে ভারত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৩, ১০:৩৩ এএম
ব্রিকসে পাকিস্তানের আবেদন, বাধা হতে পারে ভারত
ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচটি দেশ নিয়ে গঠিত হয় ব্রিকস। যার মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকেসের সদস্য পদ চেয়েছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা ব্রিকসকে ‘গুরুত্বপূর্ণ দলীয় উন্নয়নমূলক দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামাবাদকে যুক্ত করার জন্য আবেদন করেন।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানায়।

সংবাদ সম্মেলনটিতে মুমতাজ জাহরা বলেন, “ব্রিকসে যোগদানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বহুপক্ষীয় অংশগ্রহণকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”

তার দাবি, ব্রিকসের বেশির ভাগ সদস্যদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

মুমতাজের ঘোষণার দুদিন আগে রাশিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানি দূতও একই তথ্য জানান। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থাটির সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে। সদস্যপদের জন্য পাকিস্তানের প্রতি সমর্থনের জন্য আমরা সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে বিশেষত রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।”

বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিকস এমন একটি জোট, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের নেতৃত্বাধীন জোটকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

চলতি বছর পাকিস্তান সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারপার্সন মুশাহিদ হুসেন সাইদ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। সেখানে নেতৃত্ব সম্মেলনের মাঝে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুশাহিদ বলেন, “আঞ্চলিকতাবাদের দিকে যাচ্ছে বিশ্ব। এখন দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলার জন্য একে অপরকে সহযোগিতা করছে।” ব্রিকসে যোগদানের জন্য পাকিস্তান সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন মুশাহিদ হুসেন সাইদ।

তবে পাকিস্তান ব্রিকসে যোগ দিতে চাইলেও, কাজটি তাদের জন্য সহজ হবে না বলে মনে করছেন দেশটির পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশ্লেষক মুহাম্মদ ফয়সাল।

তিনি বলেন, “পাকিস্তানে সামনে যে পথটি খোলা আছে, তা সম্পূর্ণ চ্যালেঞ্জের ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার। নতুন সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় রাজনীতি আছে। পাকিস্তানের বিষয়টি একেবারেই ভারতের বিরোধিতার সঙ্গে জড়িত। ভারত-চীন সম্পর্ক কেমন যাচ্ছে, তার ওপরই ভারতের বিরোধিতা করা না করার বিষয়টি নির্ভর করছে।

Link copied!