বিশ্বে ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়। তবে পাকিস্তানের নিম্নমুখী সাক্ষরতার পরিসংখ্যানের প্রেক্ষিতে দেশটির গর্ব করার মতো তেমন কিছু নেই বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ডন।
পাকিস্তানের শিক্ষা সচিব ওয়াসিম আজমল চৌধুরীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা যায় সাক্ষরতার হার ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ। কিন্তু প্রকৃত চিত্র ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উল্লেখিত হার সর্বশেষ আদমশুমারির অনুপস্থিতিতে অনুমানকৃত পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে। তবে, সর্বশেষ জাতীয় আদমশুমারি অনুসারে প্রকৃত সাক্ষরতার হার ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, এই সংখ্যাটি আগের প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে বেশি। তাই কেউ বলতে পারবে না যে সাক্ষরতার হার কমেছে। আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, সব প্রদেশেই সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে পাঞ্জাবে ৬৬ দশমিক ১ থেকে ৬৬ দশমিক ৩ শতাংশ, সিন্ধুতে ৬১ দশমিক ১ থেকে ৬১ দশমিক ৮, খাইবার পাখতুনখাওয়াতে ৫২ দশমিক ৪ থেকে ৫৫ দশমিক ১ এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে সাক্ষরতার হার ৫৩ দশমিক ৯ থেকে ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষাকে ন্যূনতম অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি, শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হয় সবচেয়ে কম। যা সাক্ষরতার হার হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ।
দেশটির সরকারি এক স্কুলের শিক্ষকের মতে, “৬০ শতাংশ সন্তোষজনক পরিসংখ্যান নয়, কারণ আমাদের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এখনো নিরক্ষর রয়ে গেছে।”
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান শিক্ষা খাতে তার জিডিপির ২ শতাংশেরও কম ব্যয় করে।