প্রায় তিন মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ফিলিস্তিনিদের এ বিপর্যয়ের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কাকার বলেন, “ফিলিস্তিনের ব্যাপকভাবে উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্য পাকিস্তান সরকার নববর্ষ উপলক্ষ্যে সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।”
এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রদর্শন এবং নববর্ষে সংযম ও নম্রতা প্রদর্শনে দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কাকার বলেন, “গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালালো গণহত্যায় পাকিস্তানিরা এবং পুরো মুসলিম বিশ্ব অত্যন্ত ব্যথিত।”
তিনি বলেন, “পাকিস্তান প্রত্যেকটি বৈশ্বিক ফোরামে ফিলিস্তিনের দুর্দশার কথা বলছে এবং ভবিষ্যতেও এ রক্তপাত বন্ধ করতে তা অব্যাহত রাখবে। পাকিস্তান এরমধ্যে দুই দফায় ফিলিস্তিনে সহায়তা পাঠিয়েছে। আরও এক দফায় সহায়তা পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।”
পাকিস্তান ফিলিস্তিনকে সময়মতো সহায়তা এবং গাজার আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জর্ডান এবং মিসরের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান কাকার।
গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে নববর্ষ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে আসছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। যার প্রায় ৭০ শতাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি।