চলতি বছরের রমজান মাসটি ২৯ নাকি ৩০ দিনের হবে সে বিষয়ে চলছে আলোচনা। তবে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে আগামী ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও সামা টিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রুয়েত-ই-হিলালের কেন্দ্রীয় কমিটি পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য আগামী ৩০ মার্চ (রমজান ২৯, ১৪৪৬ হিজরি) সন্ধ্যায় আঞ্চলিক কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে। ওই বৈঠকে পাকিস্তানে রমজানের সমাপ্তি এবং ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
মূল সভাটি ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ধর্মীয় পণ্ডিত, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা সারা দেশের চাঁদ দেখার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবেন।
গত মাসে পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) রমজান এবং শাওয়াল মাসের চাঁদের দৃশ্যমানতা পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন, জ্যোতির্বিদ্যাগত গণনা এবং আধুনিক পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য ব্যবহার করেছে।
জ্যোতির্বিদ্যার মডেল অনুসারে, আগামী ৩০ মার্চ পাকিস্তানে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর তেমনটি হলে ২৯ রোজা শেষেই রমজান মাসের সমাপ্তি এবং পরদিন ৩১ মার্চ দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে পারে।
তবে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য পরীক্ষা করার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রুয়েত-ই-হিলালের কমিটি। কারণ পাকিস্তানে খালি চোখে চাঁদ দেখা এখনো ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা হিসেবে রয়েছে।