আটলান্টিক সাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সাবমেরিন টাইটানের ৫ যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ এবং পরবর্তীতে পানির চাপে বিধ্বস্ত হয় যানটি। ব্যাপক অনুসন্ধানের পর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এতে থাকা ৫ জন আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনার ১০ দিন পর ওই সাবমেরিন পরিচালনাকারী সংস্থা ওশেনগেট ওয়েবসাইটে এখনো দেখা যাচ্ছে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের ভ্রমণের বিজ্ঞাপন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সংস্থাটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, সমুদ্রের নীচে ভ্রমণের জন্য আগামী বছরের ১২ জুন থেকে ২০ জুন এবং ২১ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত দুটি যাত্রা পরিচালনা করবে তারা। প্রতি টিকিটের দাম ২ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার বেশি। যাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, অভিযানের সরঞ্জাম এবং জাহাজে থাকাকালীন সমস্ত খাবার দেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৮ জুন পাঁচ আরোহী নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের নিচে ডুব দেয় টাইটান। এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সাবমেরিনটির সঙ্গে উপরের সহযোগী জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ই এতে বিস্ফোরণ হয়।
এতে আরোহী হিসেবে ছিলেন, ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, ফরাসি ডাইভিং বিশেষজ্ঞ পল-হেনরি নারজিওলেট এবং পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার কিশোর ছেলে সুলেমান এবং চালাচ্ছিলেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ। ডুবোযানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার এবং যাত্রীদের মারা যাওয়ার পরে সংস্থাটি এই ভ্রমণ কার্যক্রমটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।