গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে খোলাচিঠি লিখেছে ইহুদিদের ১৪০টি সংগঠন। এতে দেখা যাচ্ছে আমেরিকান এসব ইহুদিরা ইসরায়েলকে সমর্থন দিলেও ধীরে ধীরে যুদ্ধবিরতির দাবিতে তারাও এখন সরব হয়ে উঠেছে।
ওই চিঠিতে প্রায় ৫ শতাধিক ইহুদি স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিটি ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেসের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, “আমাদের অনেকে চমৎকার ইহুদি সম্প্রদায় গঠনে আমাদের জীবন উৎসর্গ করেছি। আমরা জানি এই সংকট সমাধানের কোনো সামরিক সমাধান নেই। আমরা জানি যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা এখানে থাকতে এসেছে- তারা একে অপরের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকলে ইহুদিদের নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা, কোনোটাই অর্জিত হবে না।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন ইহুদি সমাজের বড় একটি অংশই এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাই এই চিঠির গুরুত্ব অনেক বেশি।
সিনাগগ, মার্কিন ইহুদি কেন্দ্রিক একটি সমাজসেবামূলক সংস্থা। এছাড়া মানবকল্যাণ সংস্থা এবং ইহুদি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোও স্বাক্ষর করেছে এই চিঠিতে।
এছাড়াও চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় এমন ব্যক্তিরাও আছেন যারা ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক এবং আগে যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো ও হামাসের প্রতি সহানুভুতিতে তাদের প্রতি ক্ষুব্দ ছিলেন। কিন্তু এখন তাদের মানসপটের চিত্র ভিন্ন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে ‘আল আকসা ফ্লাড’ নামে আকস্মিক হামলা পরিচালনা করে। এতে প্রায় ১২শ’ ইহুদি নিহত হয়। জিম্মি করা হয় আরও ২৪০ জনকে। হামলার দিন থেকেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা শুরু করে। এরপর মাঝখানে তিন দফায় ৭ দিন যুদ্ধবিরতি শেষে আবারো গাজায় নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে।
এদিকে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। কিন্তু এবারও ভেটোর মাধ্যমে সেই প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।