নোবেল বিজয়ী প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৯ মার্চ) শান্তিনিকেতনের ঠিকানায় চিঠিটি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ২৯ মার্চের মধ্যে অমর্ত্য সেন অথবা তার কোনো প্রতিনিধি যেন বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন ভবনের কনফারেন্স হলে উপস্থিত থাকেন। সেখানেই ওই ‘বিতর্কিত’ জমির শুনানি হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। তাই আইন মেনে তাকে কেন ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না, সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছে।
কিছুদিন আগে অমর্ত্য সেন যখন শান্তিনিকেতনে ছিলেন, সে সময়ই তাকে একটি চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। ওই নোটিশ ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক।
তবে অমর্ত্য সেনের দাবি, ওই বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজ নেওয়া। আর কিছুটা জমি কেনা। এখন মিথ্যা কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে শান্তিনিকেতনে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থনীতিবিদের হাতে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন তিনি। নিজেই জমির রেকর্ড রাখার অফিসে (বিএলআরও) গিয়েছিলেন মমতা। এরপর বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে মমতা বলেন, ‘এভাবে মানুষকে অপমান করা যায় না।’
সম্প্রতি তার বাবা আশুতোষ সেনের পরিবর্তে জমির লিজহোল্ডার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন অমর্ত্য সেন। বোলপুর ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তরে তার শুনানি হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরা। কিন্তু দীর্ঘ প্রশ্ন-উত্তরের পরও কোনো মীমাংসা হয়নি।