যুদ্ধের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উং। দেশটির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের এক বৈঠকে কিম অস্ত্রের উৎপাদন ও সেনাদের মহড়া বাড়াতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন। একই বৈঠকে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল পাক সু ইলকে বরখাস্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শত্রুদেশগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে কারা দেশটির শত্রু, তা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জেনারেল রি ইয়ং জিলকে এখন পাক সু ইলের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে রি তার পদে বহাল থাকবেন কি না, তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অপরদিকে, অস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে কিম জং-উন একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।
গত সপ্তাহে কিম জং-উন অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, আরও বেশি করে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্য অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করতে হবে। কেসিএনএ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, কিম মানচিত্রে সিউল ও আশপাশের এলাকাগুলো দেখাচ্ছেন।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুদ্ধপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি নিয়ে মহড়া চালানোর জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কিম।
৯ সেপ্টেম্বর প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে উত্তর কোরিয়া কয়েকটি আধা সামরিক বাহিনীও পরিচালনা করছে।
২১ থেকে ২৪ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা। উত্তর কোরিয়া এটিকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।