প্রথম গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর একই ধরনের আরও স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মহাকাশে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠানো পর এটি নিয়ে সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ প্রসঙ্গে কিম ইয়ো জং বলেছেন, “মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌম অধিকার। আমরা আমাদের সার্বভৌম অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত।”
কেসিএনএ’র দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “এটা নিশ্চিত যে উত্তর কোরিয়ার সামরিক অনুসন্ধান স্যাটেলাইটটিকে অদূর ভবিষ্যতে সঠিকভাবে মহাকাশ কক্ষপথে স্থাপন করা হবে এবং এরপর এটি তার মিশন শুরু করবে।”
বুধবার উত্তর কোরিয়ার একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কিম ইয়ো জংয়ের এই মন্তব্য সামনে এলো।
এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্রদের সামরিক তৎপরতার ওপর নজরদারির জন্য মহাকাশে একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে স্যাটেলাইট ‘চেওলিমা-১’ কোরিয়ার পশ্চিম সাগরে বিধ্বস্ত হয়। প্রথমে স্বাভাবিকভাবে উৎক্ষেপণ হয়। প্রথম ধাপ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক স্টার্ট আপের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এটি।
২০১৬ সালের পর মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রথম প্রচেষ্টা ছিল এটি। যদি উৎক্ষেপণটি সফল হতো তাহলে প্রথমবারের মতো পিয়ংইয়ংয়ের কোনো গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মহাকাশে অবস্থান করত।
এদিকে উত্তর কোরিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পর পার্শ্ববর্তী দুই দেশ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি দেখা দেয়। কারণ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরপরই সিউলে জরুরি সাইরেন বাজানো হয় এবং বাসিন্দাদের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হয় তারা যেন বাড়িঘর ছেড়ে চলে যান। তবে কিছুক্ষণ পরই আরেকটি মেসেজ পাঠিয়ে জানানো হয়, আগে যে মেসেজ দেওয়া হয়েছিল সেটি ‘একটি ভুল’ ছিল।