উত্তর কোরিয়ার ‘পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি’ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যৌথ নৌ মহড়া চালিয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণের পাল্টা জবাবে রোববার বড় ধরনের মহড়ায় নামে এই তিন দেশ।
রোববার (১৬ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যকার আন্তর্জাতিক জলসীমায় রোববার মহড়াটি পরিচালিত হয়। তিনটি দেশের এজিস রাডার সিস্টেমে সজ্জিত ডেস্ট্রয়ারকে একত্রিত করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে সিউলের নৌবাহিনী।
দেশটির একজন নৌ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মহড়ায় কম্পিউটার-সিমুলেটেড ব্যালিস্টিক লক্ষ্য শনাক্ত এবং ট্র্যাক করার পদ্ধতি নিয়ে অনুশীলনে জোর দেওয়া হয়।
এর আগে গত বুধবার নিজেদের কোনো এক জায়গা থেকে ‘হাওয়াসং-১৮’ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে কিম জং উনের দেশ। যা দেশটির সবশেষ উৎক্ষেপণ করা পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটিকে পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে কঠিন বার্তা বলে হুঁশিয়ারি দেয় পিয়ংইয়ং।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন এসব গোয়েন্দা বিমান ভূপাতিতের হুমকিও দেয় দেশটি। এরপরই আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনের উপস্থিতির বিষয়ে নিন্দা করে উত্তর কোরিয়া। পাশাপাশি দেশটির এর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছিল।
দ. কোরিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা উন্নয়ন ঘটাতে দ. কোরিয়া, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মহড়া হয়েছে।
এদিকে যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোয় উ. কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও নিয়ম উপেক্ষা করে যাচ্ছে দেশটি। এতে কোরীয় উপদ্বীপে অস্থিরতা লেগেই আছে। সিউল, টোকিও এবং ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ংয়ের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণের নিন্দা করে বলেছে, এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের ‘স্পষ্ট, স্পষ্ট লঙ্ঘন’। কোরীয় উপদ্বীপ এবং তার বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি তৈরি করেছে।